মানিকগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হরিরামপুর ও সাটুরিয়া উপজেলায় দুটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। হরিরামপুরে বর ও অভিভাবককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে একমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় হরিরামপুরের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কোর্টকান্দি গ্রামের ইসলামের বাড়িতে বাল্য বিয়ে করতে আসা বর ও বরের অভিভাবককে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এই শাস্তি প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বিল্লাল হোসেন
জানা গেছে, জেলার হরিরামপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কোর্টকান্দি গ্রামে ইসলামের বাড়িতে এ বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয়। এদিকে প্রশাসন গোপনে বাল্যবিয়ের অভিযোগ পেয়ে হাজির হন ইসলামের বাড়িতে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং বর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বর মো. রবিউল ইসলাম শিকদারকে (২২) এবং অভিভাবক মো. বিলায়েত হোসেন শিকদারকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ৭ ধারা ও একই আইনে ৯ধারা লঙ্ঘনের দায়ে পৃর্থকভাবে ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত বর জেলার হরিরামপুর উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের মো. মোবারক শিকদারের পুত্র। বিয়ের কনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় অভিভাবকদের নিকট থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া যাবে না বলে অংগীকারনামা নেওয়া হয়।
অপরদিকে সাটুরিয়া উপজেলায় বাল্যবিয়ের চেষ্টার দায়ে শ্বশুর ও বরকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন সাটুরিয়ার ইউএনও। সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম রবিবার রাত ৯টার দিকে তার কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে শ্বশুর ও বরকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
জানা যায়, সাটুরিয়া উপজেলার চাচিতারা গ্রামের ৯ম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার খাগুটিয়া গ্রামের মৃত শাহিনের পুত্র রাসেলের বিয়ের আয়োজন চলছিল। এই সংবাদ শুনে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বিয়ে বাড়ি উপস্থিত হয়ে বর, কনে ও শ্বশুরকে নিয়ে আসেন। পরে বিবাহ নিরোধ আইনে শ্বশুর ও বর রাসেলকে দোষী সাব্যস্ত করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS